Technology

২০২৩ সালের চলমান শীর্ষ স্থানীয় প্রযুক্তিসমূহ

২০২৩ সালে যে প্রযুক্তিগুলি মানুষের মধ্যে চমক সৃষ্টি করবে

প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশের সাথে বিশ্বেজুড়ে এক অভাবনীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে মানুষের প্রতিটি পদচারণা এখন প্রযুক্তিকে ঘিরে। প্রযুক্তির বিবর্তনের সাথে মানুষ নিত্য নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখে চলছেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে তাল মিলিয়ে মানুষ প্রতিদিনই যে ভাবে একের পর এক চমক সৃষ্টি করে চলেছেন, তাতে করে তারা হয়তো নিজেই জানেন না এর শেষ কোথায়। কে জানতো যে এক সময় মানুষ ঘরের এক কোণে বসে পুরো পৃথিবীটাতে পদচারণা করবেন, পুরো পৃথিবীর মানুষের সাথে মুহূর্তেই যোগাযোগ করবেন। হ্যাঁ, এতো গেল যোগাযোগের কথা। যোগাযোগের বিষয়টি মানুষের কাছে খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার মনে হয়ে থাকে। কেননা, এর পরে তো আর প্রযুক্তির চমক থেমে নেই। যোগাযোগ প্রযুক্তির চমক তো দুই দশক আগেই পেরিয়ে গেছে। 

বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের নিরিখে জানা যায় যে ২০২৩ সালে যে কয়েকটি প্রযুক্তি শীর্ষ স্থান দখল করে থাকবে সেগুলি হলোঃ

১।    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

২।    মেটাভার্স

৩।   ব্লক চেইন

৪।    কোয়ান্টাম কম্পিউটিং

৫।   ডিজিটাল ইমিউন সিষ্টেম

৬।   হাইপার অটোমেশন

আপনি যদি প্রচলিত এ সকল প্রযুক্তির বাইরেও বাজির বিষয়ে্ আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আপনি কিন্তু একবার https://bd.parimatch.com/bn/androidapp সাইটি ভিজিট করে দেখতে পারেন। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মূলত নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামিংয়ের উপর এর নিজস্ব সৃজনশীলতার মাধ্যমে কাজ করে থাকবে। এর মধ্য দিয়ে এ সকল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আপনা আপনি নতুন নতুন আইডিয়া, ইমেজ, বিনোদন ইত্যাদি তৈরি করে মানুষের মাঝে চমক সৃষ্টি করে থাকবে। সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চমকের সাথে সাথে মানুষকে প্রতারণার হাত থেকেও সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, কৃত্রিম এসব বুদ্ধিমত্তা একদিক যেমন ইতিবাচঁক কাজে লাগানো যেতে পারে, তেমনি সেগুলো নেতিবাচঁক প্রভাব তৈরির ক্ষেত্রেও কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। উদাহরণ স্বরপ, কম্পিউটার প্রোগ্রাম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, সকল ক্লায়েন্টকে হুমকি প্রেরণ করা। এ সকল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রোগ্রামকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে অনেক শ্রম বাচিঁয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। হাজার হাজার প্রোগ্রামার দিন-রাত পরিশ্রম করে এখন এসকল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রোগ্রাম তৈরি করে চলেছেন।

মেটাভার্স

আক্ষরিক দিক দিয়ে অর্থ করলে মেটাভার্স  শব্দটি ইউনিভার্স শব্দটির বিপরীত অর্থ বহন করে থাকে। মেটাভার্স মূলত ইউনিভার্স তথা বস্তু জগতের বাইরে কম্পিউটারে মাধ্যমে দেখা ভার্চ্যুয়াল জগতে বুঝায়। সেক্ষেত্রে কম্পিউটার জগতের ইউনিভার্স তথা মেটাভার্স হচ্ছে এর মধ্যে জীব-জগত, খেলা-ধুলা, কেনা-কাটা, গেম, অংকন, বিনোদন অর্থাৎ বস্তু জগতের যা কিছুর অভাব আজকাল আমরা কম্পিউটার জগতের মাধ্যমে মিটিয়ে থাকি সামষ্টিকভাবে তার সবকিছুই হচ্ছে মেটা ভার্স। আর আজকাল এই মেটা ভার্স এর বড় একটি অংশ দখল করে নিতে চলেছে অনলাইন কেনাকাটা ও অনলাইন পেমেন্ট। এখন আর কেনা-কাটা, খাওয়া-দাওয়ার জন্য বাইরে যেতে হয় না, ঘরে বসে কি-বোর্ডের বাটন টিপলেই খাবারের অর্ডার দেয়া যায়, পেমেন্ট করা যায় আর খাবারও বাসার ভিতর চলে আসা। মানুষের মধ্যে মেটাভার্স এর ধারণাটা চলে এসেছে মূলত: এমন অনুশীলন থেকেই। সুতরাং. কেনাকাটা, টাকা-পয়সা লেন-দেন সবকিছুই যেহেতু বস্তু জগতের বাইরে চলে যাচ্ছে, কাজে ২০২৩ সালটি যে হতে চলেছে এক মেটা ভার্সের বছর সেটা বলাটা হয়তো অত্যুক্তি হবে না।  

ব্লক চেইন 

বিগত কয়েক বছর ধরেই ব্লক-চেইন শব্দটি মানুষের মনের ভিতর বার বার ঘুরে ফিরে চলে আসছে। আসলে কি এই ব্লক চেইন। ব্লক চেইন হচ্ছে এমনি এমন এক বিশেষ ধরনের কোড যা একবার তৈরি হয়ে গেলে আর কখনই পরিবর্তন করা যায় না এবং লেনদেনের মাধ্যমে এটাকে ভেঙ্গে বিভাজন করা গেলেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এর নিজস্ব পরিচয় ও কোড বজায় রেখে আলাদাভাবে ব্যবহার করা সম্ভব, কিন্তু খেয়াল খুশি মতো কপি করা, পরিমানে কম বা বেশি করা সম্ভব নয়। এছাড়াও এর আরেকটি বৈশিষ্ট হচ্ছে যে একে কপি যায় না, পৃথিবীর যেখানেই এটাকে অনলাইন ট্রান্সফার করা হোক না কেন, সেখান থেকেই তা এর বিভক্ত অন্য অংশটি কিংবা অংশগুলির সাথে অনলাইনের মাধ্যমে সমন্বয় সাধন পূর্বক এর অখন্ডতা বা পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করে। আর এ কারণেই ব্লকচেইন পদ্ধতিতে অনলাইন মুদ্রা তথা ক্রিপ্টোকারেন্সি এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

 কোয়ান্টাম কম্পিউটিং

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং মূলত অন্যান্য সাধারণ কম্পিউটারের মতো কম্পিউটিং ব্যবস্থা হলেও তার কার্যক্ষমতা যেন কল্পনাকেও হার মানায়। এর পার্থক্যটা মুলত এর কাজের ক্ষমতা ও গতিতে সাধারণ কম্পিউটারে যেখানে এর তথ্য ধারণ ব্যবস্থা বিট ও বাইট হিসাবে হিসাব করা হয়, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সিষ্টেমে সেখানে পারমানবিক অনু কনার গতি সম্পন্ন কিউবিক গতির সাথে তুলনা করে এর গতি হয়ে থাকে জ্যামিতিক হারে দ্বিগুন, তিনগুন কিংবা বহুগুন ক্ষমতা সম্পন্ন।  বিজ্ঞানীরা বহুযুগ ধরেই কোয়ান্টাম শক্তিকে কম্পিউটিং ব্যবস্থায় কাজে লাগানোর স্বপ্ন দেখে আসছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত তারা সফল হতে পেরেছেন।

ডিজিটাল ইমিউন সিষ্টেম

ডিজিটাল ইমিউন সিষ্টেম অন্যভাবে বলা গেলে বলা যায় যে, আপনার ডিজিটাল সিষ্টেমকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা, আপডেট করা, রিপোর্ট তৈরি করাই হচ্ছে ডিজিটাল ইমিউন সিষ্টেমের কাজ। এটা মুলত এক বিশেষ ধরনের প্রোগ্রাম যা আপনার সিষ্টেমের অন্যান্য প্রোগ্রামগুলির স্বাস্থ্যের যত্ন নিয়ে থাকবে এবং সেগুলো আক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকবে।

 হাইপার অটোমেশন

হাইপার অটোমেশন হচ্ছে কোন ব্যবসার ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সফটওয়্যার, প্রোগ্রাম ইত্যাদি কাজে লাগিয়ে সিষ্টেমের উন্নতি সাধন করা। যাতে করে মানুষের কায়িক পরিশ্রমের পরিবর্তে যাক্রিক সহায়তাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই কাজ হাসিল করা যায়।

উপসংহার

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেভাবে বিপ্লব ঘটিয়ে চলছে তাতে করে বলা যায় যে বর্তমানে আমরা একটি হাইপার-কানেকটেড, ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড  এ প্রবেশ করেছি। প্রযুক্তির বিকাশে ২০২৩ সালটিও হয়তো সুন্দর একটি মাইলফলক হয়ে দাড়াতে পারে।

 আমাদের সকলের উচিত প্রযুক্তিকে সঠিক ভাবে ব্যবহারের জন্য নিজেদেরকে প্রশিক্ষিত ও যোগ্য করে তোলা, তা যথা সম্ভব মানব কল্যাণে কাজে লাগানো এবং তা কোন ক্রমেই যেনো কারো ক্ষতির কারণ হয়ে না দাড়ায়। 

Editorial Team

Passionate news enthusiast with a flair for words. Our Editorial Team author brings you the latest updates, in-depth analysis, and engaging stories. Stay informed with their well-researched articles.

Related Articles

This will close in 5 seconds